-
Notifications
You must be signed in to change notification settings - Fork 0
/
Copy pathoutput.txt
40 lines (35 loc) · 49.2 KB
/
output.txt
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
29
30
31
32
33
34
35
36
37
38
39
40
==========================================================
Actual Text : মাওবাদী এলাকায় পুলিশের টহল (ফাইল ফটো) ভারতে যে রাজ্যগুলোতে মাওবাদীদের দাপট বেশি, সেগুলোর মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ-প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকেই তিনি সোমবার এ মন্তব্য করেন। মাওবাদীদের সঙ্গে শান্তি-আলোচনার কথা যে সরকার আদৌ ভাবছে না, সেটাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। দুসপ্তাহ আগে ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীদের হামলায় ২৫জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি আজকের এই বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্ট করে দেন মাওবাদীদের দমনে সরকারি কৌশলে বিরাট কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তিনি বলেন, "সিলভার বুলেট দিয়ে এই সমস্যা মিটবে না - অর্থাৎ ঝটিতি কোনও জাদুবলে এর সমাধান মিলবে না, আর এর কোনও শর্টকাটও নেই। স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদে নানা ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করেই আমাদের এগোতে হবে।" ইংরেজিতে সমাধান শব্দের এস, এ, এম ইত্যাদি সবগুলো বর্ণের জন্য স্মার্ট লিডারশিপ, অ্যাগ্রেসিভ স্ট্র্যাটেজি, মোটিভেশন এজাতীয় নানা শব্দ ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, এই সমাধান শব্দেই লুকিয়ে আছে মাওবাদীদের জবাব। আরও পড়ুন: নির্বাচনের পালে হাওয়া, নেই আগাম ভোটের ইঙ্গিত কিভাবে সনাক্ত করবেন ফেসবুকের ভুয়া খবর মাওবাদী বিদ্রোহ দমনের সহজ সমাধান নেই - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং তবে কলকাতায় কনফ্লিক্ট স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সমীর কুমার দাস মনে করছেন, সামরিক পথই মাওবাদী দমনের একমাত্র পথ হতে পারে না। তিনি বলছিলেন, "একটা দিক দিয়ে রাষ্ট্রের চোখ দিয়ে দেখলে রাষ্ট্র সব সময়েই একে সামরিক পথেই মোকাবিলা করতে চাইবে, কিন্তু মাওবাদী সমস্যা আসলে হল অনুন্নয়নের সমস্যা - এবং অপশাসনের, যেটাকে বলতে পারি গভর্ন্যান্স ডেফিসিট।" "টাকা খরচ এক জিনিস, আর উন্নয়নের সুফল এলাকার মানুষের হাতে পৌঁছনো, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন আর এক জিনিস। এ দুয়ের মধ্যে একটা অসামঞ্জস্য রয়েই গেছে, যেটা আমরা অ্যাড্রেস করতে পারিনি", বলছিলেন অধ্যাপক দাস। তিনি আরও মনে করেন, যখনই হিংসা কমে গেছে - এবং পরিসংখ্যানগত দিক থেকে সেটা সত্যিও - তখনই সরকার ভেবেছে এর সমাধান হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যার মূলোৎপাটন করতে না-পারায় মাওবাদী হিংসা বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাই এদিন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় মূল সমস্যা হল যোগাযোগের অভাব - অদূর ভবিষ্যতে তিনটি নির্মীয়মান ব্রিজের কাজ শেষ হলে এলাকার ছবিটা বদলাতে বাধ্য। "আর দু-এক বছরের মধ্যে ইন্দ্রাবতী নদীর ওপর একটি ব্রিজ, মোটু ব্রিজ আর ওড়িশার দিকে আর একটা ব্রিজের কাজ শেষ হলেই বিস্তীর্ণ একটা অঞ্চল তথাকথিত সভ্যতার মধ্যে চলে আসবে।" "আমি হোম সেক্রেটারি থাকার সময়ে এমন এলাকাতেও গেছি, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে, জিজ্ঞেস করার পর উত্তর পেয়েছি লেনিন বা স্টালিন। কারণ মাওবাদীরা তাদের সেরকমই বুঝিয়েছে, আর স্বাধীনতার সত্তর বছরেও সেখানে পা পড়েনি কোনও সরকারি কর্মকর্তার", বলছিলেন তিনি। আরও বেশি সংখ্যায় সেনা মোতায়েন বা সেতু-সড়কের নির্মাণ সেই ছবি কতটা পাল্টাতে পারবে তা দেখার বিষয়, তবে অ্যাক্টিভিস্ট ও গবেষক নন্দিনী সুন্দরের মতে সঙ্কট সমাধানের জন্য শান্তি-আলোচনার কোনও বিকল্প নেই। তার কথায়, "ভারতীয় রাষ্ট্রের খুব পুরনো সমস্যা হল তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসই করে না। অথচ সারা দুনিয়ায় এর কত উদাহরণ আছে - এমন কী কলম্বিয়াতে সফল শান্তি আলোচনার পর গত বছর সে দেশের প্রেসিডেন্ট যখন নোবেল পুরস্কার পেলেন, তখন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল এ দেশেও তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কিন্তু সরকার যে আদৌ উৎসাহী নয়!" মাওবাদীদের সঙ্গে না-হোক, অন্তত ওই সব এলাকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর - খুন-ধর্ষণ-ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলোর প্রতিকার করা হোক সেই দাবিই জানাচ্ছেন মিস সুন্দরের মতো আরও অনেকে। কিন্তু মাওবাদী বিদ্রোহীদের দমনে সরকারের নীতি এখনও হল আরও জোরদার অভিযান এবং ব্যাপকতর উন্নয়ন, আর সেই উন্নয়নটাও সরকারের মতো করেই।
----------------------------------------------------------
Actual : ভারতে মাওবাদী বিদ্রোহীদের মোকাবিলার পথ খুঁজতে সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই সঙ্কটের কোনও চটজলদি সমাধান সম্ভব নয়, সর্বাত্মক উন্নয়ন আর আগ্রাসী নীতি বজায় রেখেই মাওবাদীদের কাবু করা সম্ভব।
----------------------------------------------------------
Predicted : ভারত-এর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, মাওবাদীদের দমনের একমাত্র উপায় হল শান্তি-আলোচনা।
==========================================================
==========================================================
Actual Text : ভারতের অন্য অঞ্চলেও কোক, পেপসি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন কর্মীরা। স্থানীয় পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের শীর্ষ দুটি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন এই দুটি পানীয় নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিল। তারই প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার থেকে তামিলনাডু রাজ্যে নিষিদ্ধ হলো কোকা-কোলা ও পেপসি। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, কোমল পানীয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো নদী থেকে প্রচুর পানি ব্যবহার করে, সেকারণে কৃষকদের জমি সেচের সময়ও ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে খরার সময় সেচে পানি সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়ায়। রাজ্যের দশ লাখেরও বেশি দোকানদার এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে তামিলনাডুতে 'জাল্লিকাটু' নামে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের ঘটনা দেখে রাজ্যে পেপসি, কোকা-কোলা নিষিদ্ধের প্রস্তাব করে শীর্ষ দুটি ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব তামিলনাডু ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (এফটিএনটিএ) এবং তামিলনাডু ট্রেডার্স এসোসিয়েশন। বিক্ষোভের সময় অনেকে বলছিলেন 'জাল্লিকাটু' নিষিদ্ধ করা মানে স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অবমাননা করা। "আমরা কয়েক মাস আগে কোমল পানীয়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচারণা শুরু করি, কিন্তু যখন আমরা 'জাল্লিকাটু' নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করি, কোমল পানীয়ের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচারণাও ভিন্ন রূপ পায়"- বিবিসি তামিল সার্ভিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন এফটিএনটিএ'র প্রেসিডেন্ট থা ভেলায়ান। "পেপসি এবং কোকা-কোলার মতো পানীয় কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল থাকে এবং অতিরিক্ত চিনি থাকে এসব পানীয়তে। আমরা ভারতীয় কোমল পানীয়ের প্রচার চালাচ্ছি এবং ফলের জুসের বিক্রি যেন আরও বাড়ে সেই চেষ্টাও আমরা চালাবো"-বলছিলেন ব্যবসায়ী থা ভেলায়ান। স্থানীয় ব্যবসা এবং কৃষকদের উন্নতির কথা ভেবে সুপারমার্কেট, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলো যেন এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এসোসিয়েশনগুলো। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেপসি ও কোকা-কোলা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: লিফট-গাড়ি নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন সৌদি বাদশাহ ইয়াহিয়ার জন্য রান্না বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাবুর্চিরা 'ভূত তাড়ানো'র নামে আগুনে পোড়ানো হলো এক নারীকে ফ্রান্সের নির্বাচনে ওবামাকে প্রার্থী হতে আহ্বান
----------------------------------------------------------
Actual : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাডুর ব্যবসায়ীরা সেখানে কোকা-কোলা ও পেপসি বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
----------------------------------------------------------
Predicted : ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে কোকা-কোকা-কোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।
==========================================================
==========================================================
Actual Text : সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিত্র সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর এই প্রকোপ দেখা যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর সরকারি- বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতাল। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, "খুব বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে ডেঙ্গু নিয়ে যেহেতু আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তাই অনেকেই আছেন যাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নাই, কিন্তু তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন।" "আর ডাক্তারদের উপরও মানসিক একটা চাপ তৈরি হয়েছে, যার কারণে তারা রোগী ভর্তি করাতে বাধ্য হন।" রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন বিবিসির প্রতিবেদক। তিনি জানান, অনেক বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বাইরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় মানতে রাজি না সরকার 'কোন হাসপাতালেই জায়গা নেই, এত বেশী ডেঙ্গু রোগী' 'অন্য বছরের চেয়ে এবারে জটিলতাগুলো অনেক বেশি' হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, সেখানে আর রোগী ভর্তি করা হবে না। ফলে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। মিস্টার আজাদ বলেন, "এ ধরণের কথা আমরা কিছুটা হলেও শুনেছি।" বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক এবং বেসরকারি ক্লিনিক বণিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে আজ বৈঠক করার কথা রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। ওই বৈঠকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এছাড়া আজ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১০টি তদারকি টিম তৈরি করা হবে। যারা শুধু ঢাকা শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক পরিদর্শন করে খোঁজ নেবে যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেসব নির্দেশনা দিচ্ছে তা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কি-না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, "রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। এসব রোগীর প্রত্যেকের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দরকার। চিকিৎসক নার্স যারা স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন তাদের উপর শারীরিক-মানসিক চাপও প্রচুর বেড়ে গেছে।" 'এতো রোগী আসবে...আমরা স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না' তবে সরকারি হাসপাতালের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে না। প্রায় সবাইকে ভর্তি করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত বিছানা না থাকায় তাদের থাকতে হচ্ছে বারান্দা কিংবা মেঝেতে। এক্ষেত্রে রোগীরা কেমন চিকিৎসা পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে মিস্টার আজাদ জানান, "ঢাকা মেডিকেল কলেজে বাড়তি একটা জায়গার ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত বিছানা দিয়ে সেখানে যাতে বেশি রোগী ভর্তি হতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ৱ "দ্বিতীয়ত, দুটি বড় হাসপাতালে এখনো তাদের আন্তঃবিভাগ বা ইনডোর চালু হয়নি। এই হাসপাতাল দুটিকে প্রস্তুত করে রাখা হবে। যাতে ডেঙ্গু রোগী আসা বেড়ে গেলে তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম সেখান থেকে দিতে পারি।" বাংলাদেশে জুন-জুলাই মাসেই এডিস মশা-বাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে দশ হাজারের মতো মানুষ। তিনি বলেন, "এতো রোগী আসবে তার জন্য আমরা স্বাভাবিকভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না। কাজেই কিছু রোগীকে বিছানা ছাড়াই চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ চিকিৎসা পাওয়াটাই বড় কথা। আর এটা সাথে অনেক রোগী থাকলে অনেক রোগীর প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে।" "হাসপাতালের অন্য বিভাগের চিকিৎসকদের এই বিভাগে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এমনকি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, তাদের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদেরকেও যাতে এই কাজে নামায়," তিনি বলেন। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। মিস্টার আজাদ বলেন, ওইখানে যেসব রোগী ভর্তি হচ্ছে তাদের চিকিৎসার বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "যেসব হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে বলে শুনেছি সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছি।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকার মতো চিকিৎসা যাতে ঢাকার বাইরেও হয় তা নিশ্চিত করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই 'দুর্যোগ' কাটিয়ে উঠবেন তারা।
----------------------------------------------------------
Actual : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০০ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
----------------------------------------------------------
Predicted : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসছেন।
==========================================================
==========================================================
Actual Text : ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন টু্ইটার আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে নাক গলাচ্ছে। মি. ট্রাম্প কোনরকম তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে টুইট করেছিলেন: ''ডাকযোগে পাঠানো ব্যালটপত্রে যে ব্যাপক কারচুপি হবে এটা অস্বীকার করার কোন পথই নেই।'' টুইটার এই পোস্টের সাথে একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দিয়েছে এবং এটির সাথে একটি পেজ যুক্ত করে দিয়েছে যাতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই দাবি "ভিত্তিহীন"। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর উত্তর আবার টুইট করে বলেছেন সামাজিক মাধ্যমের এই বিশাল প্রতিষ্ঠানটি ''বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে''। কয়েক বছর ধরেই টুইটারের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিতর্কিত টুইট পোস্ট করা নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। এসব টুইটে মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে অনেক কিছু উড়িয়ে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ মাসে টুইটার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য বিষয়ে তাদের নতুন নীতিমালা চালু করেছে। টুইটারে মি. ট্রাম্পের অনুসারীর সংখ্যা ৮ কোটির বেশি। তবে সম্প্রতি মি. ট্রাম্প তার রাজনৈতিক সহযোগী লোরি ক্লাউসুটিসের মৃত্যু নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে টুইট করেছিলেন যেখানে তার মৃত্যুর জন্য একজন সুপরিচিত সমালোচককে তিনি দায়ী করেছেন- সেই পোস্টটি নিয়ে টুইটার কোন সতর্কবার্তা দেয়নি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ট্রাম্প বলছেন আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত 'সম্মানের' করোনাভাইরাস নয়, চীন এখন আমেরিকার মূল টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে - ট্রাম্প টুইটার কী বলছে? মি. ট্রাম্প পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যে টুইট করেছেন টুইটার সংস্থা তার সঙ্গে একটি নীল রংয়ের বিস্ময়বোধক চিহ্ণ জুড়ে দিয়েছে সতর্কবার্তা হিসাবে এবং সেইসঙ্গে একটি লিংক দিয়েছে যাতে পাঠকদের বলা হয়েছে ''মেল-ইন-ব্যালট বা ডাকে পাঠানো ব্যালট নিয়ে তথ্য যাচাই করে নিন''। এই লিংক পাঠকদের নিয়ে যাচ্ছে একটি পাতায় যেখানে মি. ট্রাম্পের দাবিকে বর্ণনা করেছে ''ভিত্তিহীন'' বলে এবং সেখানে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবরের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মহামারির কারণে আমেরিকার অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর ডাকযোগে ভোট দেবার জন্য চাপ বাড়ছে, কারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে শংকিত বোধ করছেন সংক্রমণের ভয়ে। একটি গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে আমেরিকার ৬৬% মানুষ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে না। তার টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও লিখেছেন: ''মেল বক্সে ডাকাতি করা হবে, ব্যালটে কারচুপি হবে, এমনকী অবৈধভাবে সেগুলো ছাপানো হবে এবং জাল সই দেয়া হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভনর লক্ষ লক্ষ মানুষকে ব্যালটপত্র পাঠাচ্ছেন।'' টুইটার তাদের পাতায় ''আপনার যা জানা প্রয়োজন'' এই শিরোনামে লিখেছে যে, ''মি. ট্রাম্প ভুয়া দাবি করেছেন ডাকে পাঠানো ব্যালটের মাধ্যমে 'একটা কারচুপির নির্বাচন' হবে।'' ''তথ্য যাচাইকারীরা বলছেন ভোট কারচুপির সাথে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানোর কোন যোগাযোগ আছে এমন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি,'' তারা বলছেন। টুইটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সাইটে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলে তারা সতর্কবার্তা দিয়ে লেবেলের ব্যবহার আরও বাড়াবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এধরনের পদক্ষেপ তারা নিয়েছে দেরি করে। মি. ট্রাম্প ফেসবুকেও ডাকযোগে ভোটের কাগজ সম্পর্কে একই দাবি করেছেন। কিন্তু ফেসবুকে তথ্য যাচাইয়ের ব্যাপারে কোন সতর্ক বার্তা দেয়া হয়নি। মি. ট্রাম্প উত্তরে কী বলছেন? মি. ট্রাম্প এর উত্তরে আমেরিকার নির্বাচনে নাক গলানোর জন্য টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এবছর তেসরা নভেম্বর আমেরিকায় নির্বাচন হবার কথা। তিনি বলেছেন, ''টুইটার বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে, এবং, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি এটা হতে দেব না।'' ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অনুসারীদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। মি. ট্রাম্প এ যাবৎ ৫২ হাজারের বেশি টু্ইট করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তার মত পৌঁছে দেবার জন্য তিনি প্রায়ই টুইটার ব্যবহার করেন। তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য টুইটার ব্যবহার করেন - উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনকে লক্ষ্য করে পোস্ট দেয়া থেকে শুরু করে আমেরিকায় তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে তিনি খুবই বেশি পছন্দ করেন। ২০১৭ সালে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে লক্ষ্য করে তিনি মুসলিম বিদ্বেষী টুইট করেছিলেন। বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা অ্যান্টনি জার্চার তখন বলেছিলেন এর মূল লক্ষ্য ছিল আমেরিকাবাসীকে হুঁশিয়ার করে দেশের ভেতরে আসলে একটা রাজনৈতিক বার্তা দেয়া। বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্লেষক জোয়ি টমাস বলছেন মি. টাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, রাজনীতিক ও অন্যান্য ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করতে এতদিন টুইটারকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসলেও এখন তিনি খোদ এই প্ল্যাটফর্মকে ঘায়েল করার লড়াইয়ে নামবেন। আমেরিকায় অনেক মানুষই কোভিড সংক্রমেণর কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদিও বলেছেন টুইটারের "এই বাক স্বাধীনতা হরণের নীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না" কিন্তু বিবিসির বিশ্লেষক বলছেন টু্ইটার একটি বেসরকারি সংস্থা এবং তাদের মাধ্যম নিয়ে তাদের নিজস্ব নীতি প্রণয়নের অধিকার তাদের আছে। কিন্তু সমস্যা হল টুইটার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বা অন্য কোন বিশ্ব নেতার টুইট নিয়ে এধরনের কোন পদক্ষেপ আগে কখনও নেয়নি। অন্যদিকে মি. ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যের একটা আকর্ষণ রয়েছে তার অনুসারী এবং অন্য টু্ইটার ব্যবহারকারীদের কাছেও। ফলে টুইটার প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের যে বিরাট পাঠককূল আছে সেটাও হারাতে আগ্রহী হবে না। বিবিসির জোয়ি টমাস বলছেন তাদের এই নতুন সর্তকবার্তা দেয়ার পদ্ধতি দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখার একটা নীতি হতে পারে, যেখানে মি. ট্রাম্পের মত বিশ্ব নেতারা অবাধে তাদের মন্তব্য করতে পারবেন, পাঠকও সেগুলো পড়ার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে টু্ইটারও ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে পাঠকদের হুঁশিয়ার করে দেবার দায়িত্বটাও পালন করতে পারবে।
----------------------------------------------------------
Actual : এই প্রথম সামাজিক মাধ্যমের বিশাল প্রতিষ্ঠান টুইটার আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন পোস্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা নিয়ে সতর্কবার্তা দিল।
----------------------------------------------------------
Predicted : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত পোস্টকে কেন্দ্র করে টুইটারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা জারি করেছে।
==========================================================
==========================================================
Actual Text : বন্যার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। বাংলাদেশের উত্তরের জেলারগুলোর মধ্যে বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা। চিলমারীর একজন বাসিন্দা বসির আহমেদ বলছিলেন, এখন চিলমারী শতভাগ এলাকা বন্যা প্লাবিত। "আমি যে বাড়িতে থাকি সেটি বেশ উঁচুতে। আমার বাড়িওয়ালা বলছেন ৮৮ সালের বন্যায় এই বাড়িতে পানি ওঠেনি," তিনি জানান, "কিন্তু আজ সকালে আমাদের বাড়িতে পানি উঠেছে। বাড়ির বাইরে কোমরের উপরে পানি।" "ডিঙ্গি নৌকায় করে এই মাত্র আমার স্ত্রীকে একটা আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে এলাম।। চিলমারীর সব জায়গায় এখন পানি আর নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে" - বলছিলেন বসির আহমেদ। কুড়িগ্রামের মতই দেশের মধ্যাঞ্চলের চারটি জেলা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যায় প্লাবিত হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তার বলছে, এসব জেলাগুলো হচ্ছে ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং রাজবাড়ী। বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো.শাহেদ কাওসার জানান, উজান থেকে পানি বিভিন্ন নদনদী দিয়ে এখন এসব এলাকা প্লাবিত করবে। তিনি বলছিলেন, "উজান থেকে যে পানিটা আসছে বিশেষ করে জামালপুর, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদী - সেখান থেকে পানিটা এখন মধ্যাঞ্চলে চলে আসছে।" গাইবান্ধায় শুকনো জায়গার সন্ধানে বানভাসী মানুষ। আরও পড়তে পারেন: জনদুর্ভোগ কমাতে কি ভিআইপি সংস্কৃতি বদলাতে হবে? রোগীকে বেশি ঔষধ দেয়া ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস হতে পারেন 'সেরা নিউজিল্যান্ডার'? যে চারটি নতুন জেলা প্লাবিত হবে তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ফরিদপুরের। ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোকসানা রহমান জানান, বন্যার পূর্বাভাসের পরেই তারা আশ্রয়কেন্দ্রসহ দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। মিজ রোকসানা বলছিলেন, "আমরা বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই জেলার সংশ্লিষ্ট সকল অফিস মিটিং করেছি। ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নিকটবর্তী স্কুলগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোতে শুকনা খাবার চাল পাঠানো হয়েছে। আরো যে চাহিদা রয়েছে সেটা আমরা ঢাকায় জানিয়েছি।" বাংলাদেশের মোট ২২টি জেলা এখন বন্যাপ্লাবিত। তবে কত মানুষ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তার হিসেব এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বিহার এবং মিয়ানমারে একই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে বন্যার প্রকোপটা বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনিতে বাংলাদেশে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের কারণে এবং উজান থেকে নদীর পানির ঢলে বন্যা হয়। পানি বাড়ার পরও নিজের ভিটামাটি ছাড়তে চাইছেন না অনেকেই। বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলামের কাছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, প্রতি বছরই বন্যার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবছর কি তারা আগাম সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন? জবাবে মি. ইসলাম বলেন, তারা বিষয়টা খতিয়ে দেখছেন। এই মুহূর্তে টাঙ্গাইলের বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যা কবলিত এবং কালকের তুলনায় পরিস্থিতি আজ আরো খারাপ হয়েছে। কালিহাতিতেও বন্যা হচ্ছে। "সেখানে তালিকা তৈরি করতে হবে কাদের ত্রাণসামগ্রী দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছাতে তো মিনিমাম একটা সময়ের প্রয়োজন। এখন যদি কেউ বলে ত্রাণসামগ্রী তারা পাচ্ছে না, বিষয়টা তেমন না। তারা অবশ্যই পাবে।" এদিকে পূর্বাভাস কেন্দ্র জানাচ্ছে, যদি আবারো ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে এসব জেলায় আগামী দুই সপ্তাহ সময় পর্যন্ত বন্যার পানি থাকবে। কেন্দ্র বলছে, যমুনা এবং পদ্মা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
----------------------------------------------------------
Actual : বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যাঞ্চলের আরো চারটি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এ নিয়ে মোট ২২টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হবে।
----------------------------------------------------------
Predicted : বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলীয় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যা দেখা যাচ্ছে।
==========================================================